শীতকালের একটা সুন্দর সকাল-আমরা রওনা দিলাম গাড়ী করে..মোটমাট ৮ জন আমরা-যাব রাজস্থানের একটা ছোট্ট অনামী জায়গা-"শিলিশেড়" এ...সেইমতো রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম সকল সকাল.
শীতের সকাল-সূর্য তখনও আড়িমুড়ি ভাঙ্গছে..কুয়াশার কম্বল গায়ে জড়িয়ে দিব্ব্যি আয়েষ করছে সে!বাইরে মোটামুটি ভালোই ঠান্ডা রয়েছে- সেই সুন্দর,ঠান্ডা,কুয়াশা মাখা রাস্তার বুক চিরে আমাদের গাড়ী ছুটছে হুহু করে.
শীতের নিজস্ব একটা রূপ আছে ;হয়তো কিছুটা "ঘোলাটে" সে রূপ- কিন্তু বেশ অন্যরকম!পথের ধারে বহু গাছের পাতা ঝরে গিয়ে তারা আজ সর্বস্বান্ত...আবার কোথাও রাস্তার দু পাশ হলুদ হয়ে আছে সর্ষের ফুল ধরে!আর রয়েছে পথের ধারে ধারে অনেক ছোট ছোট ধাবা-সেরকমই একটা ধাবায় গাড়ী দাড়ালো প্রাতঃরাশের জন্য.
খাওয়া শেষ করে আবার চলা শুরু- দেখতে দেখতে আমরা পৌঁছালাম "আলোয়াড়"...এটা রাজস্থানের একটা উল্লেখ্যযোগ্য শহর,পুরনো শহর...এক কথায় রাজরাজাদের জায়গা.অনেক ছোট বড় দুর্গ আছে এখানে-যার মধ্যে BalaQuila অন্যতম;আলোয়াড় এ ঘন্টাখানেক কাটিয়ে আবার আমাদের গাড়ী ছুটল পাহাড়ী পথ বেয়ে-আমাদের গন্ত্যবের দিকে.
আমরা শিলিশেড় পৌঁছালাম ততক্ষণে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে...বড় একটা পুরনো রাজপ্রাসাদ আর তার সামনে চতুর্দিক পাহাড়ে ঘেরা একটা বড় লেক..দুরে পাহাড়ের কোলে ঢলে পড়া সূর্য আর তার পড়ন্ত আলোয় চারিপাশ তখন সোনালী প্রায়!
এই রাজপ্রাসাদই এখন টুরিস্ট লজ-এখানেই আজ আমাদের রাত্রিবাস...প্রাসাদের বেশ কয়েকটা তলা আছে; আর আছে অনেক গুলো ঘর আর বারান্দা...সেইরকমই একটা বারান্দায় বসলো আমাদের সেদিনের জমজমাট আড্ডা...ধীরে ধীরে সূর্য অস্ত গেছে পাহাড়ের পিছনে...ছোট পাহাড়ী গ্রামটা,এই রাজপ্রাসাদ আর ওই পাহাড়গুলো সূর্যের বিলীয়মান ছটায় উদ্ভাসিত..!দেখতে দেখতে ঝুপ করে অন্ধকার নামলো হ্রদের জলে.আমরা অনেকক্ষণ বসে থাকলাম ওই বারান্দাটাতেই..সঙ্গে চা আর পকোড়া...:)
সন্ধেটা বেশ ভালো ঠান্ডা এখানে;চারিদিকে নিঝুম অন্ধকার আর মাঝে মাঝে দূর থেকে ভেসে আসা 'রাজস্থানী সুর '..সব কিছু নিয়ে একটা বিচিত্র-সুন্দর-ভৌতিক পরিবেশ !এইভাবে কেটে গেল বেশ কিছুক্ষণ..এবারে Dinner এর পালা.
Dinner শেষে আর এক রাউন্ড আড্ডা বসলো আমাদের,প্রসাদেরই একটা ঘরে. রাণীর জন্য তৈরী রাজার প্রাসাদ-অনেক গল্প আছে একে ঘিরে-ভৌতিক গল্প...মৃত রাণীর পায়ের শব্দ নাকি এখনো মাঝে মাঝে শোনা যায় এই প্রাসাদে !তাঁর অতৃপ্ত আত্মা নাকি এখনো ঘুরে বেড়ায় প্রাসাদের এই ঘর গুলোতে....তাই ভূত দেখতে পাওয়ার একটা ক্ষীন আশা,চরম উত্কন্ঠা আর ভয় নিয়ে এবার আমরা শুতে গেলাম!
ভোরের শিলিশেড় আরো সুন্দর- ঘর থেকে সোজা তাকালেই বিশাল ওই হ্রদটা চোখে পড়ে...স্থির আর কুয়াশা মাখা সবুজ জল.পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সূর্য টা দেখা দিচ্ছে আস্তে আস্তে;কুয়াশার চাদর সরিয়ে পাহাড় গুলোও সপষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে...শান্ত,সুন্দর,সিন্গ্ধ একটা সকাল..যা সত্যিই মনে রাখার মত!
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মানুষজনের আনাগোনা বাড়তে লাগলো.আমরাও বোটে চেপে ওই হ্রদটাতে ঘুরলাম কিছুক্ষণ...ঘড়ির কাঁটা দ্রুত এগোচ্ছে...আজ আমাদের ফিরতে হবে-আর যাবার পথে আমরা "গারওয়াজী মন্দির"হয়ে যাব.
মন্দিরে পৌঁছালাম তখন ১১.৩০ কি ১২টা হবে,মন্দিরটা যে জায়গায় অবস্থিত সেই জায়গাটা এক কথায় অসাধারণ.যেদিকে তাকাচ্ছি শুধু উঁচু উঁচু আকাশছোয়া শিলাখণ্ড-প্রাচীরের মত করে চারপাশটাকে ঘিরে রেখেছে...আর তার অনেক ওপরে তাকালে ঝকঝকে নীল আকাশ !এইটা আরাবল্লী Range- পাথরগুলো রুক্ষ আর শুস্ক তাই এখানে;সেই বড় বড় পাথর গুলোকে টপকে আমরা যখন ওপরে উঠলাম,তখন দারুন রোমাঞ্চকর লাগছিল..আর জায়গাটার নির্জনতা তার আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে তুলছিল.অনেকক্ষণ ওখানে কাটিয়ে আর মন ভরে ছবি তুলে আমরা যখন নেমে এলাম তখন প্রায় ১.৩০-২টো হবে..এরপর ধাবায় বসে Lunch সারলাম...আমার প্রিয় Maggie আর চা দিয়ে...:)আর তারপর গাড়ী ছুটল দিল্লীমুখে..!
Dinner শেষে আর এক রাউন্ড আড্ডা বসলো আমাদের,প্রসাদেরই একটা ঘরে. রাণীর জন্য তৈরী রাজার প্রাসাদ-অনেক গল্প আছে একে ঘিরে-ভৌতিক গল্প...মৃত রাণীর পায়ের শব্দ নাকি এখনো মাঝে মাঝে শোনা যায় এই প্রাসাদে !তাঁর অতৃপ্ত আত্মা নাকি এখনো ঘুরে বেড়ায় প্রাসাদের এই ঘর গুলোতে....তাই ভূত দেখতে পাওয়ার একটা ক্ষীন আশা,চরম উত্কন্ঠা আর ভয় নিয়ে এবার আমরা শুতে গেলাম!
ভোরের শিলিশেড় আরো সুন্দর- ঘর থেকে সোজা তাকালেই বিশাল ওই হ্রদটা চোখে পড়ে...স্থির আর কুয়াশা মাখা সবুজ জল.পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সূর্য টা দেখা দিচ্ছে আস্তে আস্তে;কুয়াশার চাদর সরিয়ে পাহাড় গুলোও সপষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে...শান্ত,সুন্দর,সিন্গ্ধ একটা সকাল..যা সত্যিই মনে রাখার মত!
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মানুষজনের আনাগোনা বাড়তে লাগলো.আমরাও বোটে চেপে ওই হ্রদটাতে ঘুরলাম কিছুক্ষণ...ঘড়ির কাঁটা দ্রুত এগোচ্ছে...আজ আমাদের ফিরতে হবে-আর যাবার পথে আমরা "গারওয়াজী মন্দির"হয়ে যাব.
মন্দিরে পৌঁছালাম তখন ১১.৩০ কি ১২টা হবে,মন্দিরটা যে জায়গায় অবস্থিত সেই জায়গাটা এক কথায় অসাধারণ.যেদিকে তাকাচ্ছি শুধু উঁচু উঁচু আকাশছোয়া শিলাখণ্ড-প্রাচীরের মত করে চারপাশটাকে ঘিরে রেখেছে...আর তার অনেক ওপরে তাকালে ঝকঝকে নীল আকাশ !এইটা আরাবল্লী Range- পাথরগুলো রুক্ষ আর শুস্ক তাই এখানে;সেই বড় বড় পাথর গুলোকে টপকে আমরা যখন ওপরে উঠলাম,তখন দারুন রোমাঞ্চকর লাগছিল..আর জায়গাটার নির্জনতা তার আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে তুলছিল.অনেকক্ষণ ওখানে কাটিয়ে আর মন ভরে ছবি তুলে আমরা যখন নেমে এলাম তখন প্রায় ১.৩০-২টো হবে..এরপর ধাবায় বসে Lunch সারলাম...আমার প্রিয় Maggie আর চা দিয়ে...:)আর তারপর গাড়ী ছুটল দিল্লীমুখে..!
Ek kothay Jomjomat...Chaliye jao
ReplyDeletethank u so much dear..!
ReplyDeletewow.....asadharon.....darun hoyeche...vut dekhte peyechile??:):)akhankar pix daoni to...pix share koro dekhbo..........chaliye jao guru....ar bangalore thaka kalin je jaiga gulote ghurecho okhankar golpo gulo likho.porbo.:):)
ReplyDeleteHa ha...na bhut dekhte pawar soubhagyo hoini..:)pix lagano ache toh amar FB te...dekho..r hain nischoi likhbo..tomader kache theke eibhabe utsaho peye khub bhalo lagche..thanks a lot..:)
Delete